স্টাফ রিপোর্টার আরাফাত সিকদার কক্সবাজার।
চট্টগ্রাম লোহাগাড়া উপজেলার অন্তর্গত কলাউজান ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড গাবতলী স্টেশন এর পূর্ব পাশে
স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক আহমদ নকল সার্টিফিকেট বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দীর্ঘ ষোল বছর সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এলাকায় গড়ে তুলেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে লাখো শহীদের রক্তর ঝরার বিনিময়ে একটি সুন্দর-শৃঙ্খলা হিসাবে দেশ উপহার পেয়েছে বাংলার১৮ কোটি মানুষ। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি স্বৈরাচারীর আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক আহমেদ।
গত কয়েকদিন আগে একটি অনুসন্ধান টিম তার এলাকায় পরিদর্শন করতে গেলে। বেরিয়ে আসে সিদ্দিক আহাম্মদ নামের ব্যক্তির অবৈধ সম্পদের তত্ত্ব। অনুসন্ধান টিম এর হাতে আরও বেরিয়ে আসে।
৮ নাম্বার ওয়ার্ডের গাবতলী স্টেশনে দুইতলা ভবনের একটি বিলাস বহুল মার্কেট। তার মধ্যে রয়েছে। ৫০ একরের মতো সম্পত্তি। তার সম্পত্তির নাই কোন হিসাব।
অনুসন্ধান টিমের তথ্য অনুযায়ী। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের নৌকার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ ওয়াহেদ। ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক পাটনার হিসেবে পরিচিত
তার মধ্যে রয়েছে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ ওয়াহেদ চেয়ারম্যান এর প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় বড় তুলেন মাদক ও জোয়ার-বাণিজ্য।
অনুসন্ধান টিম স্থানীয় কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানতে পারে। বিগত স্বৈরাচারীর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাবতলী স্টেশন এর উত্তর পাশে টংগাবতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বালু উত্তোলন করতে গিয়ে। নষ্ট হয়ে যায় স্থানীয় অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি।
কিন্তু অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে স্থানীয় লোকজন যদি কাউকে অভিযোগ দিতে গেলে তাদেরকে ভয় বৃত্তি দেখিয়ে। স্থানীয় লোকজনকে চুপ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদেরকে দেওয়া হয় বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলা।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়ত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েব আমির, আ ন,ম শামসুল ইসলাম সাতকানিয়া লোহাগাড়া থেকে নির্বাচন করতে গিয়ে।কলাউজান ইউনিয়নের ৭,৮,ও,৯, নম্বর ওয়ার্ডের লোকজন জামাত ইসলামের পক্ষ হয়ে যখন কাজ করতে যায়। তাদেরকে দেওয়া হয় পুলিশ দিয়ে হুমকি সহ বিশেষ আইন ও বিস্ফোরকের মামলা দিয়ে তাদেরকে বাড়িছাড়া করা হয়। বলে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক আহমেদের বিরুদ্ধে।
তারমধ্যে রয়েছে এম এ ওয়াহেদের নেতৃত্বে নকল মুক্তিযুদ্ধার সার্টিফিকেট বানিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে নেওয়া হয়তো চাঁদা এবং সরকারি সুযোগ সুবিধা।
কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এলাকার মানুষ দীর্ঘ ১৬ বছর সিদ্দিক আহমদের ভয়ে মুখ না খুললেও এখন জনসমক্ষে অনুসন্ধান টিমকে তথ্য দিতে সক্ষম হয়।
অনুসন্ধান টিম স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারে ৫ আগস্ট এর পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন হত্যা মামলায় দায় হওয়ার পরও তাকে গ্রেফতার করছেনা পুলিশ। কিন্তু ডেভিট হান্ট এই অপারেশন অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানান স্থানীয় লোকজন। আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক আহমদ কে যদি গ্রেপ্তার করা না হয়। এলাকায় বিশৃংখা ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।