১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সোহরাব উদ্দিন : ফল পুনর্বিবেচনার দাবি
সাইফুল ইসলাম তুহিন
স্টাফ রিপোর্টার
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা পরীক্ষায় অকৃতকার্য চাকরিপ্রত্যাশীরা ফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আগামী রোববার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই ঘোষণা আসে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ভাইভা পরীক্ষায় প্রায় ২৩ হাজার প্রার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সব প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে দেওয়ার পরও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এতে ফলপ্রকাশের প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি ও বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।
তাদের প্রধান দাবী,
বোর্ডভেদে পাসের হারের
তারতম্যের কারণ খুঁজে বের করা,
আগের বছরের তুলনায় এবারের কম পাসের হারের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেওয়া,
সকল ভাইভা পরীক্ষার্থীদের সনদ প্রদান,
ফলপ্রকাশ প্রক্রিয়ায় কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা চিহ্নিত করে সমাধান করা,
ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ফল পুনরায় পর্যালোচনা করা
উল্লেখ্য, ১৬তম ও ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে ভাইভা পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৯২.১৫% ও ৯৫.২%, কিন্তু ১৮তম নিবন্ধনে তা নেমে এসেছে মাত্র ৭২ শতাংশে। দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য, অথচ পাস করেছেন মাত্র ৬০ হাজার প্রার্থী।
ভুক্তভোগী প্রার্থী সোহরাব উদ্দিন বলেন, “আমি ভাইভাতে সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়েছি, তবুও আমাকে ফেল করা হয়েছে। এটা চরম জুলুম। অতীতের পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, পাসের হারে এতো বড় ফারাক ছিল না। এনটিআরসিএ আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের একটাই দাবি—ভাইভাতে অংশ নেওয়া সবাইকে পাস করিয়ে সনদ দিতে হবে। কেবল যাদের সার্টিফিকেটে সমস্যা রয়েছে বা যারা ভাইভায় অনুপস্থিত ছিল, তারা ব্যতীত। এমনকি যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি, তারাও যেন সনদ পান। কারণ এনটিআরসিএ শুধু সনদ দেয়, চাকরি দেয় না। আবেদন থেকে বয়স গণনা করতে হবে, কারণ তারা পুরো কার্যক্রম শেষ করতে ২২ মাস সময় নিয়েছে। এই দায়ভার কে নেবে?”
চাকরিপ্রত্যাশীরা দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনের কর্মসূচি আরও কঠোর করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।