-৬০,রওশন লজ, উত্তর নালাপাড়া, সদরঘাট, চট্টগ্রামে ১৮/৩/২৫ ইং তারিখে ১৭ রমজান ১৪৪৬ হিজরি রোজ মঙ্গলবার পবিত্র শোহাদায়ে বদর স্মরণে ওয়াজ মাহফিল এবং প্রতি বছরের ন্যায় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত মাহফিলে ছদারত করেন উক্ত দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীনে কেবলা আলম হযরত শাহ্ সূফি মুহাম্মদ জুনাইদ (মা.জি.আ)।
প্রধান আলোচক হিসেবে তকরির পেশ করেন হালিশহর তৈয়্যবীয়া মাদ্রাসার সিনিয়র আরবী প্রভাষক আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস তৈয়্যবী যুক্তিবাদী।বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম। সারাদিন ব্যাপী কর্মসূচি’র মধ্যে ছিলো : সকাল থেকে খতমে কুরআন শরীফ,খতমে আসমাউল হুসনা,খতমে দরুদে নারিয়া,খতমে গাউসিয়া, খতমে খাজেগান সহ অসংখ্য খতমাত। উক্ত খতম সমূহের মুনাজাত পরিচালনা করেন হামিদিয়া হোসাইনিয়া রাজ্জাকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল হক নূরী আল কাদেরি।
এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন : দরবার শরীফের শাহজাদা জাভির বিন জুনাইদ,এস এম আব্দুল মালেক, মৌলানা মুহাম্মদ আব্দুল মনছুর,মৌলানা মুহাম্মদ মীর কাসেম,মৌলানা মুহাম্মদ আব্দুস শুক্কুর,হাফেজ হাসেম,হাফেজ তৌহিদ,মুহাম্মদ আশরাফ হোসাইন আল কাদেরি এ ছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য ওলামায়ে আহলে সুন্নাহ এবং উক্ত দরবার শরীফের আশেকান, মুহিব্বিন এবং ভক্তবৃন্দ।
উক্ত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন : দরবার শরীফের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইঞ্জিনিয়ার এ এন এম মতুর্জা। মাহফিলে বক্তারা বলেন,”১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস। ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সম্মুখ সমর অনুষ্ঠিত হয় এই দিবসে। পৃথিবীতে ইসলাম থাকবে কি থাকবে না- এ ফয়সালা হয় বদরের রণাঙ্গনে ঐতিহাসিক এক যুদ্ধের মাধ্যমে।
জেহালতের তিমিরাচ্ছন্নতার অবসান ঘটিয়ে একাত্মবাদের ঝাণ্ডা নিয়ে শান্তি ও সফলতার চাদরে আচ্ছন্ন ঐশী নূরের আলোকে জগদ্বাসীর জন্য ইসলামের মতো মহান পবিত্র নেয়ামতের সুশীতল ঝরনাধারা প্রবহমান থাকার বিষয়টি সুনিশ্চিত হয়েছিল বদরের প্রাঙ্গণ থেকেই; এ জন্যই মানবসভ্যতার ইতিহাসে এই দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। পবিত্র কোরআনে তাই মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে বদর দিবসকে ‘ইয়াওমুল ফুরকান’ তথা সত্য-মিথ্যার প্রভেদকারী দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ” সবশেষে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে এবং ফিলিস্তিন সহ বিশ্বের সকল মুসলমানের জন্য বিশেষ ভাবে দোয়া করা হয়।
আগামী ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পরবর্তী মাহফিল উদযাপন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।