স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার
আরফাত সিকদার
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লোহাগাড়া উপজেলা কলাউজান ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি
বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ মাহমুদুল হক অবৈধভাবে ও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে। গড়ে তোলেন টাকার পাহাড়। আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক ছিলেন একজন ভ্যান চালক। সে ভ্যান চালক থেকে শুরু করে মাঝখানে জড়িয়ে যাই ডাকাতের সরদার হিসেবে।
তার নেতৃত্বে ছিল একদল ডাকাত বাহিনী।
আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল হক এর বিরুদ্ধে রয়েছে ডাকাতিও হত্যা মামলা।
সে বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায়। লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়ন কানুরাম বাজারের একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ী বিএনপির নেতা জনাব মমতাজুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখম করে। পরের সাথে সাথে ওই ব্যবসায়ী কে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
ঐ ব্যবসায়ী থানায় মামলা করতে গেলে। আওয়ামী লীগ নেতার সুপারিশে ওই ব্যবসায়ীর মামলা নেওয়া হয়নি থানায়।
কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল হক। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউ পি সদস্য নির্বাচন করতে গিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থী ছিল মোহাম্মদ শাহজাহান ভুট্টু ।
মেম্বার পদপ্রার্থী শাহজাহান ভুট্টো বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়। তৎক্ষণিক আওয়ামী লীগ নেতার সুপারিশের। ভোটের ফলাফল ভিন্ন রূপে পরিণত হয়। কিন্তু মাহমুদুল হক কে অবৈধভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার।
গত ৫ ই আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার কারণে।
মাহমুদুল হকের নামের চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায দুইটি হত্যা মামলা এন্টি হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
জুলাই মাসের অভ্যন্তরে লাখো শহীদের বিনিময়ে নতুন ভাবে দেশকে স্বাধীন করে। একটি সুন্দর শৃঙ্খলা দেশ উপহার দিয়েছে বাংলার গর্বিত মায়ের গর্বিত সন্তান। শহিদ, আবু সাঈদ থেকে শুরু করে লাখো শহীদের বিনিময়ে।।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ডাকাত বাহিনীর গডফাদার সেই মাহমুদুল হক। এলাকার জনসাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমরা বক্তব্য নিতে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি। দীর্ঘ ১৭টি বছর মাহাদুল হক নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির, ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সকল স্তরের মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও তাদেরকে বাড়িঘর ছাড়া করেছিল সন্ত্রাস মাহমুদুল হক।
৫ আগস্ট এর ঠিক তিনদিন আগে লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্ররা একটা বিশাল ভিক্ষুক মিছিল করেছিল। ওই মিছিল কে কেন্দ্র করে মাহমুদুল হকের সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে মিছিল কে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন করে মাহমুদুল হক।
এলাকার মানুষের একটাই প্রশ্ন।আওয়ামী লীগ নেতার মাহমুদুল হক এত টাকার মালিক কিভাবে হল।
আমরা এই বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি। অতি শীগ্রই সন্ত্রাস মাহমুদুল হক কে যদি গ্রেফতার করা না হয়।
এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।